শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ অপরাহ্ন
৭১সংবাদ২৪.কম- ডেস্কঃ
সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রার মফস্বল সম্পাদক মোঃ রাশিদুল ইসলামের উপর বরগুনা জেলার সদর উপজেলার ইউএনও মো. শামীম মিঞা কর্তৃক সরাসরি আক্রমণ চালানো সহ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর প্রতিবাদ ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকায় মানববন্ধন করা হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হয়ে ইউএনও শামীম মিঞা রীতিমতো মাস্তানি কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বার) সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব ঢাকা এর সামনে “জাতীয় সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন” কর্তৃক আয়োজনে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, “সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা”র প্রকাশক ও সম্পাদক এবং “জাতীয় সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন” এর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা এস. এম. মোর্শেদ, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রার বিশেষ প্রতিনিধি এম. শাহীন আলম, সংগঠনের সিনিয়র ভাইস্ চেয়ারম্যান লাতিফুল সাফি ডায়মন্ড, সংগঠনের মহাসচিব ও দৈনিক মুক্ত খবরের প্রতিনিধি আবু বক্কর সিদ্দিক, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ খাইরুজ্জামান সজিব সহ আরো অনেকে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দুর্যোগও ত্রান ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতাধীন (কাবিখা-খাদ্যশস্য) প্রকল্পের বরগুনা সদর উপজেলায় চলমান কর্মসূচীতে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে মর্মে কথা ওঠে। গত (৭ সেপ্টেম্বর)- ২০২৪ইং এমন অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহকালে সাংবাদিক মোঃ রাশেদুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম মিঞা কর্তৃক চরমভাবে নিগৃহীত, অপমানিত ও নাজেহালের শিকার হন।
তথ্য মতে, ইউএনও’র সরাসরি নির্দেশে আনসার সদস্য কর্তৃক রাশেদকে গলা চেপে ধরাসহ মারধর করা সহ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেওয়া হয় এবং থানা হেফাজতে নিয়ে আটকে রাখা হয়। দেশব্যাপী সাংবাদিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে- কী দোষ ছিল রাশেদুল ইসলামের? সংবাদ সংগ্রহকালে বক্তব্য চাওয়াতেই ইউএনও শামীম মিঞা চরমভাবে ক্ষিপ্ত হন এবং তার উপর হামলা চালান এবং পরে থানা হেফাজতে আটক রেখে একটি মুচলেকায় রাশেদের স্বাক্ষর আদায় করেন। এতেই ক্ষান্ত না থেকে ফেসবুকে তাকে ভূয়া সাংবাদিক আখ্যা দিয়ে নানা অপপ্রচারও চালান। এমন মর্মান্তিক ও নিন্দনীয় ঘটনায় সাংবাদিক রাশেদুল ইসলামের পক্ষে উচ্চ আদালতে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
এখানেই শেষ নয়, ঘটনার সাংবাদিক রাশেদুল ইসলামকে নাজেহাল করার দৃশ্য ইউএনও তার নিজস্ব লোক দ্বারা করানো ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে তাকে সামাজিকভাবে চরম অপদস্থ করা সহ চাঁদাবাজ দাবি তুলে মিথ্যে অপপ্রচার চালান।
উল্লেখ্য যে, চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অমূলক ও অবান্তর বটে! চাঁদা চাওয়ার এমন কোন প্রমাণাদি অভিযুক্ত ইউএনও’ শামীম মিঞার কাছে নেই। আমরা অবিলম্বে এই মাস্তান ইউএনও’র এমন কর্মকান্ডের তদন্তপূর্বক প্রত্যাহার করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি করেন নেতৃবৃন্দ।